হযরত মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান

প্রধান মুফতি

কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসা

মহা কুরআনুল কারীম সকল কিতাবের মধ্যে শুধু শ্রেষ্ঠই নয়, মূলও বটে। এটি সকল কিতাবের মূল ও সমস্ত জ্ঞানের প্রাণ স্বরূপ। সে কুরআনের শিক্ষা ও পরিচিতি হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়। তাই কুরআনকে বুঝা ও চেনার জন্য পবিত্র হাদিস সম্পর্কে অবগত হওয়া অত্যন্ত জরূরী। হাদিস ব্যতিত কুরআনের ব্যাখ্যা অসম্ভব। আর হাদিস সমূহের রয়েছে এক বিশাল ভান্ডার। হাদিসগুলো পরীক্ষা- নিরীক্ষা ও ছেঁকে রত্ন বের করে আনা রত্নশীলকে মানায়। এ কাজ তাঁদের, যাহাদেরকে আল্লাহ তায়ালা ইজতিহাদের সামর্থ ও অনর্্তদৃষ্টি দান করেছেন। আর ইজতিহাদের অধিকারী ব্যক্তিরা মুজতাহিদ ও ফকীহ এবং তাঁদের গবেষণাকৃত কুরআন- হাদিসের নির্যাস হল ইলমে ফিকাহ।

পৃথিবীতে যে হাজারো রকমের বৃক্ষ-তরুলতা রয়েছে, সেগুলোর গুণ আবিষ্কার, উপাদানগুলোকে পৃথক পৃথকভাবে চিহ্নিত করা, সেগুলোকে মিশ্রিত রূপদান করা, রোগ নিরূপণ করা, রোগীর জন্য ওষধ নির্বাচন করা যেমন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বা হেকিমের কাজ, তেমনি করে কুরআন-সুন্নাহর যথার্থ মর্ম ও উদ্দেশ্য অনুধাবন করে মুসলিম উম্মাহর জন্য সমাধানকৃত সঠিক পথ ও মত নির্ণয় করা ওলামায়ে মুজতাহিদের কাজ, এ কাজে সর্বাগ্রে রয়েছেন মহান ব্যক্তিত্বের অধিকারী, অনির্বাণ প্রদীপ, সারা বিশ্বে দ্বীনের আলো বিতরণকারী, অন্ধকারে নিমজ্জিত জনতার পথের দিশারী, অসাধারণ ধর্মীয় প্রতিভার নির্মল ও মনোমুগ্ধকর গুনাবলীর অধিকারী, …………রূপকার, বিদদ্ধ পন্ডিত, মুসলিম জাহানের সর্বমান্য ইমাম, আল্লাহর মনোনীত ইসলাম রূপে পবিত্র বাগানকে ফুলে-ফলে সুশোভিতকারী, বিশ্ববরন্য ও সমাদৃত আলেমেদ্বীন ইমাম আযম আবু হানিফা (রা:)।

সাম্প্রতিককালে মাযহাববিরোধী তথাকথিত আহলে হাদিস নামে কিছু লোক দ্বীন প্রচারের দাবী ও হাদিসের দোহাই দিয়ে সাদাসিধে সরল-প্রাণ মুসলমানকে বিভ্রান্তির নিমিত্তে আইম্মায়ে মুজতাহিদীন, তাবেয়িন, তাবে তাবেয়িন, বুজর্ুগানেদ্বীন, হক্বপন্থি ওলামায়ে কেরাম, এমনকি সাহাবায়ে কেরামের ব্যাপারেও খারাপ ধারনা প্রচার করে চলেছে। বিশেষকরে যাঁর মাযহাব অনুসরণ করে কোটি কোটি মানুষ সঠিক পথের সন্ধান পেয়েছে, সে বিশ্বখ্যাত ইমাম আবু হানিফার শানে যে বিরূপমন্তব্য ও কুরূচিপূর্ণ শব্দ উচ্চারণ এবং তাঁর নাম শুনলে তাদের যে গাত্রদাহ হয়, তা বর্ণনার অবকাশ রাখেনা। পৃথিবীর কোটি-কোটি মুসলিম জনতা কেন ইমাম আযমের অনুসারি এ বিষয়টি তাদের বড়ই কষ্টের কারণ কিন্তু কষ্ট হলেও সহ্য করতে হবে, কারণ এটা মাযহাবে হানাফীর উপর খোদায়ী বিশেষ দান কারও কিছু করার নেই।

আহলে হাদিস সমপ্রদায়ের দাবী কোন ইমামের তাকলীদ বা অনুসরণ করা বৈধ নয়। আসলে এটা তাদের মুখের বুলি মাত্র, বাস্তবচিত্র উল্টো, তাকলীদ থেকে পালানোর সুযোগ নেই। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে স্বভাবজাতভাবে মুকালি্লদ বা অনুসরণকারী হিসেবে সৃষ্টি করেছেন, ব্যক্তিগত, আর্থ-সামাজিক, ভূগোলিক সর্বক্ষেত্রে তাকে দেখা যায় অনুকরণকারী হিসেবে। এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির, এক দল আরেক দলের, এক সমপ্রদায় আরেক সমপ্রদায়ের অনুসরণ করেই চলেছে। চেতনে অবচেতনে আমরা পরস্পর সকলে ……………………………শিখে থাকি। জীবনে শিখতে গেলে অনুসরণ করতে হবে। এটাইতো তাকলীদ, তাকলীদ একটি বাস্তবতার নাম। একে এড়িয়ে জীবন-যাপন করা অসম্ভব। প্রত্যেক ঘরে ঘরে রয়েছে মুকালি্লদের বসবাস যে শিশু এখনো মাদরাসা বা স্কুল দেখেনি, সে শিশু মাতা-পিতা ও নিকটবর্তী লোকদের অনুসরণ করে। একজন মুসল্লী ব্যক্তি মসজিদের ইমামের কথাকে মান্য ও অনুসরণ করে। আর এই বাস্তবতার নাম তাকলীদ। যা লা-মাযহাবীদের বোধগম্য হয় না।
কুরআন মজিদ ও হাদিস শরীফ প্রত্যেকে নিজে নিজে সঠিকভাবে বুঝে আমল করা সম্ভবপর নয়, তাই মাযহাবের প্রয়োজন অপরিহার্য। এই বাস্তবসত্যকে অস্বীকার করে আহলে হাদিসের লোকেরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বলে বেড়াই, ফেকাহ বাদ দিয়ে শুধুমাত্র হাদিস বিশেষ করে ইমাম বুখারীর রচিত বুখারী শরীফের উপর আমল করতে হবে। মনে রাখা দরকার, বুখারী শরীফের প্রণেতা ইমাম বুখারীর সংকলিত হাদিসের উপর আমল করার অর্থ ইমাম বুখারীর মাযহাবকে মানা, কারণ শুধুমাত্র সহীহ হাদিস সংকলন করা ইমাম বুখারী (রাঃ) এর মূল উদ্দেশ্য ছিলনা, বরং নিজ ইজতিহাদকৃত মাসআলাকে প্রমাণ করাই তাঁর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ছিল। কাজেই যারা পদে পদে বুখারী শরীফের নাম উচ্চারণ করে স্বস্থি বোধ করে তারা মূলত ইমাম বুখারীর ইজতিহাদকে মনে-প্রাণে গ্রহণ করে ইমাম বুখারীর মাযহাবকে অন্ধভাবে অনুসরণ করে। স্মরণ থাকা জরুরী বুখারী শরীফের তথা হাদিসের কিতাব মানা মানে মাযহাব মানা। উল্লেখ্য যে, অনেক নির্ভরযোগ্য ওলামায়ে কেরামের মতে ইমাম বুখারী (রাঃ) ছিলেন শাফেয়ী মাযহাবের অনুসারী। যার জন্য বুখারী শরীফে সংকলিত হাদিস শরীফ ও পরিচ্ছেদে বর্ণিত শিরোনাম শাফেয়ী মাযহাবের দলিলের সহায়ক। পূর্বোলি্লখিত বর্ণনা অনুযায়ী তথাকথিত আহলে হাদিস ইমাম বুখারী (রাঃ) এর মাধ্যমে শাফেয়ী মাযহাবের খালেছ মুকাল্লীদ। মাযহাব মান্য করা হাজার বার শিরিক বললেও কার্যত এর বাইরে থাকার সুযোগ মোটেই নেই। এটাই একশ ভাগ সত্য কথা। আর আহলে হাদিস শাফেয়ী মাযহাবকে মানতে যদি সমস্যা না হয় তাহলে অন্যান্য মুসলিম জনতা হানাফী মাযহাবকে মানতে অসুবিধা কোথায়।

ইমাম আযম আবু হানিফা (রাঃ) শরীয়তের বিধি-বিধান, মাসলা-মাসায়েল সাব্যস্থ করেছেন জয়ীফ হাদিস থেকে আর ইমাম বুখারী (রাঃ) সহীহ্ হাদিস থেকে বর্ণনা করেছেন। এ ধরণের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা বলে আহলে হাদিস সরলমনা মুসলমানকে প্রতি মুহুর্তে বিভ্রান্তি করে চলেছে। লক্ষ্যণীয় যে, হাদিসের মূল অংশকে মতন বলা হয়, মতন এর বর্ণনাসূত্রকে সনদ বলা হয়। মূলত: সনদের কারণে হাদিসকে সহীহ বা জয়ীফ বলা হয়। ইমাম আযমের অনেক পরবর্তী সময়ের মুহাদ্দিস হলেন ইমাম বুখারী (রা:)। সুতারাং যে হাদিসটি ইমাম আবু হানিফা (রা:) এর নিকট সহীহ সূত্রে এসেছে। ইমাম আযমের পরের সময় থেকে ইমাম বুখারী (রাঃ) পর্যন্ত মধ্যখানে কোন দুর্বল রাবীর কারণে একই হাদিস ইমাম বুখারী (রাঃ) এর কাছে জয়ীফ সনদে আসতে পারে। অতএব ইমাম আবু হানিফা (রাঃ) এর গ্রহণকৃত সহীহ হাদিসকে ইমাম বুখারী (রাঃ) জয়ীফ বললে এতে আমলের কোন অসুবিধা নেই, বরং বিন্দুমাত্র সন্দেহ ছাড়া সহীহ হাদিসের উপর আমল হয়। এ সত্য ও বাস্তব বিষয়টিকে আড়াল করে আহলে হাদিস একদিকে ইমাম আযমের শানে বিষোদগারে লিপ্ত, অন্যদিকে সাধারণ জনতাকে মাযহাব ত্যাগ করে গোমরাহীর বেড়াজালে আবদ্ধ করার কাজে তৎপর।

ইজতিহাদ-কিয়াস করার বিষয়টি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কতর্ৃক অনুমোদিত ও মিমাংসিত। এর পরও ইমাম আযমের উপর ঘোর আপত্তি আহলে হাদিসের, ইমাম আযম ইজতিহাদ করে কোন সময় যাহির হাসিসের বিপরীত মাস্আলা প্রদান করেছেন। তাই ইমাম আযমের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে একমাত্র ইমাম বুখারী (রাঃ) এর আশ্রয় গ্রহণ করেছে লা মাযহাবী আহলে হাদিস, ইমাম বুখারীর আশ্রয় নিয়ে লাভ নেই। কারণ ইমাম বুখারী (রাঃ) নিজে হাদিস বর্ণনা করে কখনো কোন ক্ষেত্রে বর্ণিত হাদিসের প্রকাশ্য মাসআলা প্রদান না করে ইজতিহাদ করে যাহির হাদিসের বিপরীত আমল উল্লেখ করেন। যেমন বুখারী শরীফের বিভিন্ন জায়গায় উল্লেখ রয়েছে “ক্বালা আবু আবদুল্লাহ” (ইমাম বুখারী বলেছেন) এর দ্বারা উদ্দেশ্য ইমাম বুখারীর গবেষণালব্ধ মতামতের প্রতিফলন ঘটানো। যথা বুখারী শরীফের “গোসল অধ্যায়ের সর্বশেষ (২৯৩ নং) হাদিসে উল্লেখ আছে হযরত উবাই ইবনে কা’আব (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি রাসূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন-ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বামী-স্ত্রীর মিলনে যদি বীর্যপাত না হয়? (গোসল করতে হবে?) তিনি বললেন স্ত্রী থেকে যা লেগেছে তা ধুয়ে অযু করবে এবং নামায আদায় করবে। আবু আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী (রাঃ) বলেন গোসল করাই অধিক সর্তকতা।” উলি্লখিত হাদিসে গোসলের নির্দেশ নবীজি করেন নাই কিন্তু ইমাম বুখারী নিজের থেকে গবেষণার মাধ্যমে গোসলের বিধান বর্ণনা করেছেন। এটাই সে ইজতিহাদ যা ইমাম আযম মুসলিম উম্মার কল্যানার্থে করেছেন। ইমাম বুখারী ইজতিহাদকৃত মাস্আলার উপর আমল করে লামাযহাবী লোকেরা নিজেদেরকে হাদিসের উপর আমলকারী আহলে হাদিস দাবী করা কতটুকু সত্য একবার ঠান্ডামাথায় চিন্তা করা দরকার।

নিশ্চয় সকলের জানা আছে ইসলাম ধীরে ধীরে প্রচার ও প্রসার বিস্তার লাভ করেছে একদিনে নয়। যে বস্তু পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি লাভ করে বিভিন্ন অবস্থায় তার রূপ ভিন্ন হতে চলে। এজন্য একই আমলের ক্ষেত্রে এমন একাধিক হাদিস পাওয়া যায় যে গুলোতে পরষ্পর বৈপরীত্য পরিলক্ষিত হয়। এমতাবস্থায় ইমাম আযম সবদিক বিবেচনা করে এমন হাদিসটি গ্রহণ করতেন, যা নবীজির শেষ আমলের দিকে ইঙ্গিত বহন করে। আর এটাই ছিল সমাধানের সবের্াত্তম পদ্ধতি ও নীতিমালা। যেমন নামাযে হাত উঠানো তথা নামাযের মধ্যে রুকু যাওয়ার সময়, রুকু থেকে উঠার সময়, সিজদায় যাওয়ার সময় সিজদা থেকে উঠার সময় রফয়ে ইয়াদাইন বা দুইহাত উত্তোলন করা, যেটা নবীজি প্রথম দিকে কোন হেকমতের কারণে করেছিলেন। পরবর্তীতে রাসূল সাল্লাল্লহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এটা বর্জন করেছেন এবং সর্বশেষ আমলটি ছিল রফয়ে ইয়াদাইন (হাত উত্তোলন) ছেড়ে দেওয়া। উম্মতের জন্য উচিত নবীজির পরবর্তী কাজের উপর আমল করা, যা শরীয়তের ভাষায় পূর্ববর্তী আমল মানসুখ (রহিত) আর পরবর্তী আমল নাসিখ (রহিতকারী) পর্যায়ে হয়ে থাকে। অতএব রফয়ে ইয়াদাইনের বিষয়টি মানসুখের অন্তর্ভূক্ত যা আমলযোগ্য নয়। তাই নামাযে রফয়ে ইয়াদাইন বর্জন করা ইমাম আযমের যে ফায়সালা তা সম্পূর্ণ সঠিক। আর মানসুখ ও সঠিক নয় আমল রফয়ে ইয়াদাইনের উপর আমলকারী তথাকথিত আহলে হাদীস গর্ব করে বলে থাকে “যারা রফয়ে ইয়াদাইন করে না তাদের নামায শুদ্ধ হবেনা।” দিনকে রাত বলা আর রাতকে দিন বলা যেমন অসত্য, তেমনি আহলে হাদিসের এ বক্তব্য ভিত্তিহীন ও বাস্তববর্জিত।

বর্তমানে সত্যিকার ইমানদার মুসলমান আক্বীদা ও মাযহাবগত দুটো বিষয়ে আনর্্তজাতিক চক্রান্ত দ্বারা ঘেরাও। যার একমাত্র উদ্দেশ্য আমাদের দৃষ্টিতে আমরা পরস্পর হেয় প্রতিপন্ন হয়ে পশ্চাৎপর হয়ে ভবিষ্যতে মাথা উঁচু করতে না পারি। কখনো কুরআনের উপর-জোর দিয়ে তাফসীরের বিশাল ভান্ডারকে অস্বীকার করা হচ্ছে। কখনো মুহাদ্দিসগনের উপর আপত্তি তুলে, যাতে মুহাদ্দিস ও হাদিসের মূল্যবান সম্পদ সংশয়যুক্ত হয়ে পড়ে। কখনো ইজতিহাদ ও কিয়ামের উপর অভিযোগ করে, যাতে মুজতাহিদীন ও ফিকাহর সমস্ত পুঁজি মূল্যহীন হয়ে যায়। কখনো নবীজিকে সাধারণ মানুষের কাতারে নিয়ে আসে। যাতে সীরাত সংশ্লিষ্ট পুরো ধন ভান্ডার মূল্যহীন হয়ে পড়ে। এমনি করে কখনো আউলিয়া কেরামের বিরুদ্ধে কখনো হকপন্থি ওলামায়ে কেরামের বিপক্ষে বিভিন্ন বিরূপ মন্তব্য করে যাতে তাঁদের ব্যক্তিত্ব, লেখা ও প্রচেষ্টা মাটিতে মিশে যায়।

আন্তজর্াতিক ভাবে মুসলমানের সঠিক আকি্বদা ও মাযহাব বিশেষ করে হানাফী মাযহাবকে ধ্বংস করার নিমিত্তে ইহুদী- নাসারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতেছে সউদি সরকার ও তার অনুসারী এবং তথাকথিত ইখওয়ানুল মুসলেমীন আহলে হাদিস সমপ্রদায়কে, যারা প্রতিমুহুর্তে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে সরলমনা মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি করছে। সুতঁরাং বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষের ইমান আক্বীদা ও আমল এবং মাযহাবকে রক্ষা করার তাকিদে সকল সুন্নী দায়িত্বশীল পীর মাশায়েখ ও ওলামায়ে কেরাম ঐক্যের ভিত্তিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লা মাযহাবীদের (আহলে হাদিস) মোকাবেলা করা অনিবার্য সময়ের দাবী। অন্যথায় সুন্নী জনতার অস্তিত্ব নিয়ে কল্পনা করা কঠিন হবে।

About sunniaaqida

sunniaaqida

একটি রেসপন্স »

  1. আমি হযরত মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান সাহেবকে অনুরোধ জানাব আপনি আল্লামা শাউকানী তার “আল-কাউলুল মুফীদ ফি আদিল্লাতিল ইজতিহাদ ওয়াত তকলীদ” নামক কিতাবে মুকাল্লিদদেরকে যে প্রশ্নগুলো করে তার কিতাবের ইতি টেনেছেন ঐ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন কি?

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান